রাসুল (সা:) এর প্রতি হযরত হানজালা (রা:) এর ভালোবাসার ঘটনা।কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি এটা না জেনে থকেন তবে তাকি অনুরোধ করছি এটা পড়ার জন্য।

                   আসসালামু আলাইকুম।  
                বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম

হজরত হানজালা (রা:) এর কাহিনী : 


সাহাবী হানজালার নির্মম ঘটনা যা শুনলে বুক শিউরে ওঠবে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক তার ঘটনা।

হজরত হানজালা (রা:) তিনি সদ্য বিবাহ করেছেন ঐ সময় আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা:) সাহাবীদেরকে বললেন ওহে আমার সাহাবী ইকরাম তোমরা ওহুদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করো রাসুল (সা:) হযরত হানজালা (রা:) কে বললেন ওহে হানজালা তোমাকে যুদ্ধে যেতে হবে না।


তখন হানজালা বললো ইয়া রাসুলআল্লাহ আপনি যুদ্ধে যাবেন কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করবেন আর আমি সেখানে না গিয়ে বাড়িতে থেকে স্ত্রীর সাথে আমোদ প্রমোদ করবো এটা আমি সহ্য করতে পারবো না আমাকেও যুদ্ধে নিয়ে চলুন।


রাসুল (সা:) তখন বললেন হানজালা আমি তেমাকে অাদেশ দিলাম তুমি বাড়িতে থাক তোমাকে যুদ্ধে যেতে হবে না। হানজালা তখন নবীর আদেশ শুনে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি চলে গেল। আল্লাহর প্রিয় নবী আমাদের প্রিয় নবী সাহবীদেরকে নিয়ে যুদ্ধে চলে গেছেন।


এদিকে সাহাবী হানজালা (রা:) তার স্ত্রীর সাথে রাত কাটানোর পর তার উপর গসল ফরজ হয়ে গিয়েছে তাই সে গসল করতে গেছেন পানি নিয়ে দারিয়েও গেছেন এমন সময় মদিনার অলি গলি দিয়ে কে যেনো বলে যাচ্চে হে,  মদিনার মুসলমানেরা তোমরা কার জন্য জীবিত থাকবে? তোমাদের প্রেমাস্পদ প্রীয় নবীকে কাফের মুশরিকরা শহিদ করে দিয়েছে।


এই কথা যেই মাএ হানজালার কানে পৌছালো তিনি তখনি পানির বালতি ফেলে দিয়ে তার স্ত্রীর কাছে চলে গেল এবং তার স্ত্রী কে বললো হে আমার স্ত্রী  তারাতারি আমার তলোয়ারটা দাও যেই নরাধমরা আমার নবীকে শহিদ করেছে যেই কাফেররা বিশসো নবী হজরত মুহাম্মদ( সা:) কে হত্যা করেছে আমি তাদেরকে ছারবো না। আজ হয় তারা মরবে না হয় আমি মরবো যেই দুনিয়ায় নবী নেই সেই দুনিয়াই আমি বাচতে চাই না। দাও আমার তলোয়ারি টা দাও। 


তখন হানজালার স্ত্রী বলতেছেন ওগো সামী আপনি আমার নবীর হত্যাকারিকে হত্যা করতে যাচ্চেন, যান আমি বাধা দিব না, আমার বাধা দেওয়ার অধিকারো নেই তবে আপনি দয়া করে গোসল করে পবিএ হয়ে যান কেননা আপনার ওপর গোসল ফরজ হয়ে গিয়েছে। তাছার আপনি যদি ওহুদের ময়দানে শহীদ হয়েও যান আমি কোন দু:খ করবো না।


হানজালা( রা:) তিনি বললেন ওগো আমার স্ত্রী না, না, না আমি যদি গোসল করতে যায় তবে আমার নবীর হত্যাকারিরা কিছু সময়ের জন্য হলেও বেচে থাকবে এটা আমি হতে দিতে পারি না। আর যেই দুনিয়ায় আমার নবী বেচে নেই ঐ দুনিয়ার পানি দিয়ে আমি গোসল করতে পারিনা।এই বলে তিনি তলোয়ার নিয়ে চলে গেল। 


ওহুদের ময়দানে তিনি অনেক কাফেরকে হত্যা করলো একসময় যুদ্ধ করতে করতে শহিদ হয়ে গেল। যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে আল্লাহর রাসুল সাহাবীদের বললেন হে আমার সাহাবীরা তোমার যাও গিয়ে দেখো আমার যেসকল সাহাবী ইকরাম শহীদ হয়েছে তাদের লাশ সংগ্রহ করো এবং তাদেরকে গোসল বিহীন দাফনে ব্যাবস্তা করো।


(শহিদগনকে গোসল বিহিন দাফন করা হয় কারন কিয়ামতে ঐই কঠিন দিন যখন মহান রাব্বুল আলামিন বিচারের জন্য বসে যাবেন তখন এই সাহাবা ইকরাম আল্লাহর সামনে দারিয়ে যাবে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন বান্দারে তোমাদের এই অবস্থা কেনো?

তারা তখন বলবে রাব্বুল আলামিন আপনি তো যানেন আমরা আপনার ঐ সকল বান্দা যারা  আপনার বিরুদ্ধে যেসকল কাফের, মুশরিক কথা বলে ছিল তাদেরকে হত্যা করতে গিয়ে শহিদ হয়ে গিয়েছিলাম। আল্লাহ তায়ালা বলবেন ও আমার বান্দারা তোমরা যারা আমার জন্য তোমাদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে ছিলে তার জন্য আমি তোমাদেরকে আজ বিনা হিসাবে জান্নাত দান করলাম।) সুবহানআল্লাহ। 


নবীর আদেশে সাহাবীগন যখন শহীদ সাহাবীদেরকে এনে এক জায়গায় জরো করা শুরু করেছেন এমন সময় রাসুল (সা:) দেখতে পেলেন এক মহিলা দূর থেকে চিৎকার করে বলতেছেন ইয়া রাসুলআল্লাহ, হে আল্লার নবী আপনি একটু অপেক্ষা করুন আমার কথা একটু শুনুন।


আল্লাহর নবী থমকে দারিয়ে পরলেন সেই মহিলা এসে বললেন হে আল্লাহর নবী আপনি সকল শহিদগনকে গোসলে না করে দাফন করবেন কিন্তু মেহেরবানি করে আমার সামীকে গোসল না দিয়ে দাফন করবেন না।


তখন আল্লাহর প্রীয় নবী বলতেছেন ওহে মহিলা তুমি কে তুমাকে আমি চিনতে পারতিছি না তোমার পরিচয় দাও। ওই মহিলা তখন বলতেছে হে রাসুলআল্লাহ আমি আপনার প্রিয় সাহাবি হানজালার স্ত্রী।

 আপনার হানজাল যখন গোসল করার জন্য পানি নিয়ে দাড়িয়েছে ঠিক তখনি কে যেন বলে যায় ও মদিনার মুসলমানেরা তোমরা কার জন্য জীবত থাকবে তোমাদের প্রিয় নবী যে শহীদ হয়ে গিয়েছে। আপনার প্রীয় সাহাবির উপর গোসল ফরজ হওয়ার পরেও সে গোসল না করে সাথে সাথে ওহুদের ময়দানে যুদ্ধ করতে চলে এসেছে।


যেহেতু সে বাড়ি আসেনি তাহলে মনে হয় সে শহীদ হয়ে গিয়েছে।  তাই আপনাকে অনুরোধ করছি আপনি মেহেরবানি করে তাকে গোসল না করে দাফন করবেন না। রাসুল (সা:) সাহাবিদেরকে বললেন ও সাহাবিরা কইগো কই আমার হানজালার লাশ কই।


আশ্চযের বিষয় যে সাহাবীরা ওহুদের ময়দান তন্ন,তন্ন করে খুযেও তার লাশ পাওয়া গেল না সাহাবীরা চিন্তায়য় পড়ে গেলেন, নবীও চিন্তায় পড়ে গেলেন এমন সময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জিবরাঈল (আ:) কে নবীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি বললেন হে নবী আপনি চিন্তা করবেন না!  আকাশের দিকে একবার তাকিয়ে দেখেন আল্লাহ তালা হানজালার প্রতি খুশি হয়ে দুনিয়ার পানি নয় সরাসরি জন্নাতের পানি দিয়ে ফেরেশতাদের মাধমে গোসল করিয়ে দিয়েছেন।


রাসুল(সা:) আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখেন হাজার হাজার ফেরেশতা হানজালা কে আকাশ থেকে জমিনে নিয়ে আসছেন।। তখন তিনি বললেন ও আমার সাহাবিরা আমার হানজালার গোসলের প্রয়োজন নেই কারন আল্লাহতালা জান্নাতের পানি দিয়ে তার গোসল সম্পূর্ন করেছে। 


এক জন সাহাবি তার কাছে গিয়ে দেখে এখনো তার দারি দিয়ে, চুল দিয়ে পানি টপকে টপকে পড়তেছে।


Comments