সহীহ বুখারির বনী ইসরাইলের তিন যুবকের ঘটনা। আল্লাহর কাছে কিভাবে ক্ষমা চাইবেন এই ঘটনার মাধ্যমে শিখুন।Mizanur Rahman Azahari
আসসালামু আলাইকুম
বনি ইসরাইলের তিন লোক মরুভূমির সফরে বেরিয়েছে মাঝখানে তুফান শুরু হয়ে গেল। তখন তারা বাচার জন্য ছুটাছুটি করতে লাগলো ছুটাছুটি করতে করতে তারা একটা গুহা পেয়ে গেল এবং সেখানেই আশ্রয় নিল।
কিন্তু কিছুক্ষন পর বৃষ্টিরর পানির ঝাপটায় একটা বড় পাথর এসে গুহার মুখে পড়ায় গুহার মুখ বন্ধ হয়ে গেল। তারা তো আরো বিপদে পরে গেলো।গুহার ভেতরে আলো বাতাস ঢুকতে পারছে না। সুতরাং কিছু ক্ষনের মধ্যে গুহার মধ্যেকার অক্রিজেন ফুরিয়ে তারা মারা যেতে পারে।
তারা তিন জন মিলে তাদের সর্ব্বোচ্চ শক্তি দিয়ে পাথরটা সরানো চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো না।
তারা চিল্লা পাল্লা শুরু করে দিল। কান্না কাটি করতে লাগলো।
এর মধ্যে একজন বললো তোমাদের জীবনে কার কি নেক আমল আছে যেটা শুধু আল্লাহর ভয়ে করে ছিলে ঐটা দিয়ে দোয়া করে দেখো কিছু হয় কিনা!
এদের মধ্যে একজন হাটু গেরে বসে চোখের পানি ছেরে দিয়ে বলতে লাগল হে আল্লাহ আমার বাবা মা ছিল বৃদ্ধ, বৃদ্ধা। আমি পেশায় ছিলাম রাখাল।
সারাদিন ছাগল চড়িয়ে রাএি বেলায় দুধ আনতাম প্রথমে আমার পিতা মাতা কে খাওয়াতাম তারপর আমার সন্তান তারপর স্ত্রী কে দিতাম।
একদিন দুধ নিয়ে এসে দেখি পিতামাতা ঘুমিয়ে গেছে দুধের বাটি নিয়ে দারিয়ে থাকলাম। তখন সন্তাননেরা এসে বললো আব্বা দুধ দাও আমি বললাম পরে, আগে আব্বা-আম্মা খাবে তারপর তোমরা।
ছেলে - মেয়ে গুলো কান্না জুরে দিল আমি দেই নাই। ফজর পর্যন্ত দাড়িয়ে রইলাম। ফজরের আগ দিয়ে আব্বা-আম্মা জেগে ওঠে তো অবাক বললো কিরে দারিয়ে কেনো বললাম তোমরা তো প্রতিদিন দুধ খেয়ে ঘুমায় আজ না খেয়ে ঘুমিয়েছো তাই দারিয়ে আছি।
হে আল্লাহ ঐ দিন আগে পিতা মাতা কে খাওয়ালাম তারপর সন্তানদের তারপর স্ত্রীর মুখে দিলাম।হে আল্লাহ ঐ দিন আমি দুনিয়ার করো খুশির জন্য ঐ কাজটা করি নাই শুধু মাএ তোমার খুশির জন্য করেছিলাম।
হে রাব্বুল আলামিন আজকের এই বিপদের দিনে তুমি ছারা সাহায্য করার আর কেউ নেই। আমার অামলটি যদি তোমার কাছে ভালো লেগে থাকে। তবে তুমি ঐ অছিলায় আমাদের সাহায্য করো।
সাথে সাথে পাথরের এক তৃতীয় অংশ খুলে গেল। আলো বাতস ঢুকতে শুরু করে দিল। বাচার একটা আসা খুজে পেল।
এবার ২য় জন হাটু গেরে বসলো চোখের পানি ছেরে দিয়ে বললো মাবুদ আমার এক চাচাতো বোন ছিল সে ছিল সুন্দরি আমি তার প্রেমে পাগল ছিলাম কিন্তু সে আমাকে সারা দিত না।
একদিন সে বললো যদি আমাকে ১০০ সর্ন মুদ্রা দিতে পারো তবে আমি তোমাকে মেনে নিব। তার কথা শুনে আমি মুদ্রা যোগার করতে লাগলাম বছরের পর বছর চেষ্টা করে মুদ্রা যোগার করে এনে দিলাম তাকে।
আর তাকে বললাম চলো এবার অপকর্ম করি সে মুদ্রা পেয়ে খুশি আর আমি তাকে পেয়ে। দুজনেই যখন কাপর চুপোর খুলে ফেললাম।
তখন সে বললো ও আমার চাচাতো ভাই তুই আমার সতীত্ব নষ্ট করে দিষ না। আল্লাকে ভয় কর। আল্লাহকে ভয় করার কথা যেই শুনলাম তখনি আমার বুক কেপে ওঠলো ঐ সময় ফিরে আসা কঠিন আমি তাও তোমার ভয়ে জামা কাপর পরে চিৎকার করে বেরিয়ে গেলাম।
আল্লাহ ঐ দিন আমি পাপ কাজ করি নাই। ঐ দিনের আমলটা যদি তোমার কাছে ভালো লেগে থাকে আল্লাহ তাহলে ঐ অছিলায় আজ আমাদেরকে রক্ষা করো।
বলার সাথে সাথে গুহার পাথরটা আরো ডান দিকে সরে গেল। এবার তারা বেরোনোর চেষ্টা করে কিন্তু মাথা বের হলে দেহ বের হচ্ছে না,হাত বের হলেও পা বের হচ্ছে না।
এবার ৩য় জন হাটু গেরে বসলো আর চোখের পানি ছেরে দিয়ে বললো, আল্লাহ আমি একজন ব্যবসায়ী ছিলাম একদিন আমার কাছে কিছু শ্রমিক কাজ করে কাজ শেষে সবাইকে তার অর্থ দিয়ে দিই কিন্তু একজন তার পারিশ্রমিক না নিয়েই কোথায় জেনো চলে যায় আমি তার অর্থ দিতে পারিনা।
সেই অর্থ দিয়ে আমি ছাগল কিনি। একযুগ পর সেই ব্যাক্তি আমার কাছে এসে বলে আমার পারিশ্রমিক দেও।আমি বলি এই যে ছাগলের ফার্মটা দেখতে পাচ্ছো এটাই তোমার নিয়ে যাও।
সে বলে ঠাট্টা করছো মিয়া, আমি কোথায় সামান্য অর্থ পায় আর তুমি কিনা! আমি তখন বলি না এটা তোমারই।
আমি তুমার অর্থ দিয়েই একটা ছাগল কিনেছিলাম ঐ ছাগল হতে আজ একটা ফার্ম হয়ে গেছে । এটা তোমার নিয়ে যাও। সে খুশি হয়ে সব নিয়ে যায়।
হে আল্লাহ আমি যদি তাকে শুধু ঐ দিনের পারিশ্রমিক তাকে দিয়ে দিতাম তাহলেই সে খুশি হয়ে যেত। কিন্তু শুধুমাএ তোমার খুশির জন্য পুরো ফার্মটাই তাকে দিয়ে দিয়েছি।
হে আল্লাহ ঐ দিনের আমলটা যদি তোমার ভালো লেগে থাকে তাহলে আজ আমাদের এই বিপদে সাহায্য করো। তখন পুরো পাথরটা গুহার মুখ থেকে সরে গড়তে গড়তে অন্য দিকে চলে যায়।
(এটা সহিহ বুখারির বর্ণনা)
আল্লাহর কাছে কিভাবে ক্ষমা চাহবেন এটা তার একটা দৃষ্টান্ত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে মাফ করুন।(আমিন)
তিন যুবকের ঘটনা:
বুখারিতে একটা বর্ণনা আছে,বনি ইসরাইলের তিন লোক মরুভূমির সফরে বেরিয়েছে মাঝখানে তুফান শুরু হয়ে গেল। তখন তারা বাচার জন্য ছুটাছুটি করতে লাগলো ছুটাছুটি করতে করতে তারা একটা গুহা পেয়ে গেল এবং সেখানেই আশ্রয় নিল।
কিন্তু কিছুক্ষন পর বৃষ্টিরর পানির ঝাপটায় একটা বড় পাথর এসে গুহার মুখে পড়ায় গুহার মুখ বন্ধ হয়ে গেল। তারা তো আরো বিপদে পরে গেলো।গুহার ভেতরে আলো বাতাস ঢুকতে পারছে না। সুতরাং কিছু ক্ষনের মধ্যে গুহার মধ্যেকার অক্রিজেন ফুরিয়ে তারা মারা যেতে পারে।
তারা তিন জন মিলে তাদের সর্ব্বোচ্চ শক্তি দিয়ে পাথরটা সরানো চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো না।
তারা চিল্লা পাল্লা শুরু করে দিল। কান্না কাটি করতে লাগলো।
এর মধ্যে একজন বললো তোমাদের জীবনে কার কি নেক আমল আছে যেটা শুধু আল্লাহর ভয়ে করে ছিলে ঐটা দিয়ে দোয়া করে দেখো কিছু হয় কিনা!
এদের মধ্যে একজন হাটু গেরে বসে চোখের পানি ছেরে দিয়ে বলতে লাগল হে আল্লাহ আমার বাবা মা ছিল বৃদ্ধ, বৃদ্ধা। আমি পেশায় ছিলাম রাখাল।
সারাদিন ছাগল চড়িয়ে রাএি বেলায় দুধ আনতাম প্রথমে আমার পিতা মাতা কে খাওয়াতাম তারপর আমার সন্তান তারপর স্ত্রী কে দিতাম।
একদিন দুধ নিয়ে এসে দেখি পিতামাতা ঘুমিয়ে গেছে দুধের বাটি নিয়ে দারিয়ে থাকলাম। তখন সন্তাননেরা এসে বললো আব্বা দুধ দাও আমি বললাম পরে, আগে আব্বা-আম্মা খাবে তারপর তোমরা।
ছেলে - মেয়ে গুলো কান্না জুরে দিল আমি দেই নাই। ফজর পর্যন্ত দাড়িয়ে রইলাম। ফজরের আগ দিয়ে আব্বা-আম্মা জেগে ওঠে তো অবাক বললো কিরে দারিয়ে কেনো বললাম তোমরা তো প্রতিদিন দুধ খেয়ে ঘুমায় আজ না খেয়ে ঘুমিয়েছো তাই দারিয়ে আছি।
হে আল্লাহ ঐ দিন আগে পিতা মাতা কে খাওয়ালাম তারপর সন্তানদের তারপর স্ত্রীর মুখে দিলাম।হে আল্লাহ ঐ দিন আমি দুনিয়ার করো খুশির জন্য ঐ কাজটা করি নাই শুধু মাএ তোমার খুশির জন্য করেছিলাম।
হে রাব্বুল আলামিন আজকের এই বিপদের দিনে তুমি ছারা সাহায্য করার আর কেউ নেই। আমার অামলটি যদি তোমার কাছে ভালো লেগে থাকে। তবে তুমি ঐ অছিলায় আমাদের সাহায্য করো।
সাথে সাথে পাথরের এক তৃতীয় অংশ খুলে গেল। আলো বাতস ঢুকতে শুরু করে দিল। বাচার একটা আসা খুজে পেল।
এবার ২য় জন হাটু গেরে বসলো চোখের পানি ছেরে দিয়ে বললো মাবুদ আমার এক চাচাতো বোন ছিল সে ছিল সুন্দরি আমি তার প্রেমে পাগল ছিলাম কিন্তু সে আমাকে সারা দিত না।
একদিন সে বললো যদি আমাকে ১০০ সর্ন মুদ্রা দিতে পারো তবে আমি তোমাকে মেনে নিব। তার কথা শুনে আমি মুদ্রা যোগার করতে লাগলাম বছরের পর বছর চেষ্টা করে মুদ্রা যোগার করে এনে দিলাম তাকে।
আর তাকে বললাম চলো এবার অপকর্ম করি সে মুদ্রা পেয়ে খুশি আর আমি তাকে পেয়ে। দুজনেই যখন কাপর চুপোর খুলে ফেললাম।
তখন সে বললো ও আমার চাচাতো ভাই তুই আমার সতীত্ব নষ্ট করে দিষ না। আল্লাকে ভয় কর। আল্লাহকে ভয় করার কথা যেই শুনলাম তখনি আমার বুক কেপে ওঠলো ঐ সময় ফিরে আসা কঠিন আমি তাও তোমার ভয়ে জামা কাপর পরে চিৎকার করে বেরিয়ে গেলাম।
আল্লাহ ঐ দিন আমি পাপ কাজ করি নাই। ঐ দিনের আমলটা যদি তোমার কাছে ভালো লেগে থাকে আল্লাহ তাহলে ঐ অছিলায় আজ আমাদেরকে রক্ষা করো।
বলার সাথে সাথে গুহার পাথরটা আরো ডান দিকে সরে গেল। এবার তারা বেরোনোর চেষ্টা করে কিন্তু মাথা বের হলে দেহ বের হচ্ছে না,হাত বের হলেও পা বের হচ্ছে না।
এবার ৩য় জন হাটু গেরে বসলো আর চোখের পানি ছেরে দিয়ে বললো, আল্লাহ আমি একজন ব্যবসায়ী ছিলাম একদিন আমার কাছে কিছু শ্রমিক কাজ করে কাজ শেষে সবাইকে তার অর্থ দিয়ে দিই কিন্তু একজন তার পারিশ্রমিক না নিয়েই কোথায় জেনো চলে যায় আমি তার অর্থ দিতে পারিনা।
সেই অর্থ দিয়ে আমি ছাগল কিনি। একযুগ পর সেই ব্যাক্তি আমার কাছে এসে বলে আমার পারিশ্রমিক দেও।আমি বলি এই যে ছাগলের ফার্মটা দেখতে পাচ্ছো এটাই তোমার নিয়ে যাও।
সে বলে ঠাট্টা করছো মিয়া, আমি কোথায় সামান্য অর্থ পায় আর তুমি কিনা! আমি তখন বলি না এটা তোমারই।
আমি তুমার অর্থ দিয়েই একটা ছাগল কিনেছিলাম ঐ ছাগল হতে আজ একটা ফার্ম হয়ে গেছে । এটা তোমার নিয়ে যাও। সে খুশি হয়ে সব নিয়ে যায়।
হে আল্লাহ আমি যদি তাকে শুধু ঐ দিনের পারিশ্রমিক তাকে দিয়ে দিতাম তাহলেই সে খুশি হয়ে যেত। কিন্তু শুধুমাএ তোমার খুশির জন্য পুরো ফার্মটাই তাকে দিয়ে দিয়েছি।
হে আল্লাহ ঐ দিনের আমলটা যদি তোমার ভালো লেগে থাকে তাহলে আজ আমাদের এই বিপদে সাহায্য করো। তখন পুরো পাথরটা গুহার মুখ থেকে সরে গড়তে গড়তে অন্য দিকে চলে যায়।
(এটা সহিহ বুখারির বর্ণনা)
আল্লাহর কাছে কিভাবে ক্ষমা চাহবেন এটা তার একটা দৃষ্টান্ত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে মাফ করুন।(আমিন)
Comments
Post a Comment