একটি শিক্ষনীয় গল্প:
হিন্দুস্তানে এক বাদশা ছিল। তার নাম ছিল সুলতান মাহমুদ গজনভী (রহ:)।
তার একজন প্রিয় গোলাম ছিল সেই গোলামের নাম ছিল *আয়াজ*। বাদশা তার গোলাম আয়াজকে খুবই পচ্চন্দ করতেন।
এই নিয়ে রাজ্যের সভাসদরা সমালোচনা করতেন এবং আয়াজকে তারা হিংসা করতো এক সময় এই খবর রাজার কানে পৌছে যায়। তখন রাজা মনে মনে একটা ফন্দি আটে।
একদিন সে রাজদরবারে সকলকে ডাকলেন সাথে তার প্রিয় গোলাম আয়াজকেও ডাকলেন। এবার বাদশা হুকুম দিল একটা রত্ন আনতে রাজার আদেশে রত্ন আনা হলো এবার রাজা রত্নটা মন্তীর সামনে ধরতে বললেন তখন রত্নটা মন্তীর সামনে ধরা হলো।
এবার বাদশাহ বললো,বলোতো মন্তী এটা কি মন্ত্রী ভালো করে দেখে বললো এটাতো রত্ন তখন রাজা বললো এটা এক আছার মেরে ভেংগে ফেলো মন্ত্রী বলো এতো দামী জিনিস কিভাবে ভাঙবো।
তখন বাদশার আদেশে আরেক জনের কাছে রত্নটা নিয়ে যাওয়া হলো এবার তাকেও একই কথা বলা হলো সেও উওর দিল এত দামী জিনিস কিভাবে ভাঙবো।
এভাবে সকলকে বলা হলো এবং সকলেই একই উওর দিল এতো দামি জিনিস কিভাবে ভাঙতে পারি।
তখন সবার শেষে রত্নটি আয়াজের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো এবং বাদশাহ তাকে বললেন বলোতো আয়াজ এটা কি?
আায়াজ তখন উওর দিল এটা একটা রত্ন। তখন বাদশা তাকে বললো এটা ভেঙে ফেলো! আয়াজ তখন রত্নটা এক আছার মেরে ভেঙে টুকরো টুকরো করে ফললো। সবাই তখন অবাক হয়ে গেল।
তখন বাদশা তাকে বললো একি আয়াজ তুমি এত দামী জিনিস ভেঙে ফেললে?
আয়াজ তখন বললো হুজুর রত্নটা অনেক দামী জানি, কিন্তু আমার কাছে আপনার হুকুমের চেয়ে দামী নয়!
বাদশা এবার সবাইকে বললেন এবার সবাই বুঝেছেন আমি কেনো আয়াজকে এতো ভালোবাসি।
এবার একটু চিন্তা করে দেখেন দুনিয়ার একজন সামান্য বাদশার হুকুম মানলে যদি বাদশাহ এতো ভালোবাসেন তবে এই সর্বজাহানের মালিক আল্লাহর হুকুম যদি মানেন তবে তিনি আপনাকে কতটা ভালোবাসবেন বুঝতে পারছেন।
Comments
Post a Comment