সর্বশেষ যে ব্যাক্তি জান্নাতে যাওয়ার সৌভাগ্য লাভ করবে তার ঘটনা:
আল্লাহতালা বলবেন জিবরাইল (আ:) যাও দেখ একটা মাএ সেজদা দিয়েছে এমন কাউকে পাওয়া যায় কিনা । জিবরাঈল (আ:) খুজে খুজে কাউকে পাবেননা। আল্লাহতালা বলবেন যাও আবার খুজো। জিবরাঈল( আ:) এবার এক জনকে খুজে পাবেন।
ইমানের সামান্য ছিটে ফুটা তার অন্তরে ছিল তাই আল্লাহতালা বলবেন যাও জিবরাঈল যেহেতু ওর মধ্যে সামান্য ছিটে ফোটা ছিল তাই ওকে জাহান্নাম থেকে বের করে একটা নির্ধারিত দূরুততে রেখে দাও। জিবরাঈল (আ:) নির্ধারিত দূরুততে রেখে আসবে।
কিন্তু জাহান্নামের আগুনের তাপে তার দেহ ঝলসে যাবে।সে আল্লাহকে ডেকে বলবে আল্লাহ তুমি আমাকে জাহান্নাম থেকে বের করেছো আমি তোমার কাছে আর কিছু চাই না।
আমি তোমার কাছে জান্নাত চাইনা। কিন্তু এই জাহান্নামের আগুন আমাকে কষ্ট দিচ্ছে এই আগুন যাতে আমাকে কষ্ট দিতে না পারে এমন দুরুততে আমাকে রেখে আসো, এর বেশি আমি আর কিছু চাই না।
আল্লাহ বলবেন ঠিক আছে তবে, আমার সাথে একটা চুক্তি করতে হবে এরপরে তুমি আমার কাছে আর কিছু চাইতে পারবে না। সে বলবে আচ্ছা। আল্লাহ জিবরাঈল (আ:) কে বলবেন যাও ওকে এমন দুরুততে রেখে এসো যাতে জাহান্নাম তাকে কষ্ট দিতে না পারে।
এরপর অনেকদিন সে ওখানে থাকবে, আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবে। সে মনে মনে বলবে জাহান্নাম থেকে বেচে গিয়েছি আমার আর কিছু চাই না।
অনেকদিন থাকার পর সে ভাববে বেচেতো গিয়েছিই নতুন করে একটু চেষ্টা করে দেখি জান্নাতের সুন্দর্য একটু দেখা যায় কিনা!
সে আল্লাহকে আবার ডেকে বলবে আল্লাহ তোমার কাছে আমার একটা ফরিয়াদ আছে। আল্লাহ বলবে কি ফরিয়াদ বলো।
সে বলবে আল্লাহ আমি আগেই বলেছি জান্নাত আমার চাই না। কিন্তু আপনি আমাকে আপনার জান্নাতের গেটের কাছে একটু বসাইয়ে দেন যাতে আমি জান্নাতের সুন্দর্য দেখতে পাই।
আল্লাহ বলবে তুই না ওয়াদা করেছিস আর কিছু চাবি না। সে বলবে আল্লাহ আমারে হতোভাগা বানাইয়া আপনার কি লাভ(সুবহানআল্লাহ)। সে বলবে আল্লাহ আমারে হতভাগা বানিয়েন না।
আল্লাহ বলবে ঠিক আছে আবার চুক্তি কর জান্নাতের কাছে বসাইয়া দিলে আর কিছু চাইবি না। সে বলে আমি আর কিছু চাইবো না।
আল্লাহ জিবরাঈল (আ:) কে আবার বলবে যাও ওকে জন্নাতের কাছে রেখে এসো। জান্নাতের কাছে গিয়ে সে কিছুক্ষন বোসে থাকার পর জান্নাতের সুন্দর্য তাকে পাগল করে দেবে।
সে আল্লাহকে আবার ডেকে বললো হে আল্লাহ আপনি এতো সুন্দর জান্নাত সৃষ্টি করেছেন আমি শুধু সেটা চোখ দিয়ে দেখি আর কান দিয়ে শুনি ভোগ করতে পারি না আমার যে আর সহ্য হয় না। তুমি আমাকে মাফ করে দিয়ে আমাকে তুমার জান্নাতের এক কোনায় যায়গা করে দাও।
আল্লাহ বলবে ধংস হোক তোর, বনি আদম জাত। তোর চেয়ে বড় গাদদার আমি আমার সৃষ্টিকূলে আর দেখি নি। তুই আমার সাথে চুক্তি করিস আর ভজ্ঞ করিস।
তার আকুতি মিনুতি দেখে আল্লাহর দয়া হয়ে যাবে। আল্লাহ বলবে যাহ গোলাম তোকে আমি মাফ করে দিলাম। যা তুই জান্নাতে যা।
আল্লাহ যেই মাএ বলবে জান্নাতে যা সে সাথে সাথে দৌড় দেবে। আল্লাহ বলবে থাম গোলাম থাম, সে থেমে যাবে আল্লাহ বলবে গোলাম তুই দৌড় দিলি কেনো। সে বলবে আল্লাহ এই পর্যন্ত আসতে তো কম চেষ্টা করি নি। এতো চেষ্টার পরে আপনার অনুমতি পেয়েছি আপনি যদি আবার নিষেধ করে দেন তাই দৌড় দিছি। আল্লাহর তাকে বলবে তোর জান্নাত হবে সব থেকে ছোট জান্নাত। এটার আকার হবে কতোটুকু জানেন পৃথীবির ১০ গুন বড়।(সুবহানআল্লাহ)
লেখার মধ্যে কোন ভুল থাকলে মাফ করে দিবেন।
collected by Mizanur Rahnan azahari.
Comments
Post a Comment